স্টাফ রিপোর্টারঃ
গত ৪ আগস্ট মুন্সীগঞ্জ শহরের সুপার মার্কেট মোড় এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয়া শহরের উত্তর ইসলামপুরের আন্দোলনে নিহতের ঘটনায় পৃথক ৩টি মামলা দায়ের করা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের এজাহারভুক্ত পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে পলাতক রয়েছে কয়েক শতাধিক আসামীরা। নিরব ভূমিকায় প্রশাসন।
এছাড়া অন্তত ৯৫ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হন দেড় শতাধিক। আন্দোলনে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহতরা হলেন-রিয়াজুল ফরাজী(৩৮),মো:সজল মোল্লা(৩০) ও নুর মোহাম্মদ ওরফে ডিপজল(২২)।নিহতদের মধ্যে রিয়াজুল মৃত কাজী মতিনের ছেলে,সজল আলী আকবর মোল্লার ছেলে ও ডিপজল সিরাজ সরদারের ছেলে।এরা সকলেই শহরের উত্তর ইসলামপুর এলাকার বাসিন্দা।
উল্লেখ্য ; গত ৪ আগস্ট শহরের সুপারমার্কেট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে জেলা সদরের চরাঞ্চল থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন,তার পুত্র সাবেক সংসদ সদস্য ফয়সাল বিপ্লব ও তার স্ত্রী মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র চৌধুরী ফাহরিয়া আফরিন ও মিরকাদিম পৌরসভার আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক মেয়র শহিদুল ইসলাম শাহিনের নির্দেশে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার জন্য অস্ত্র-ককটেল নিয়ে শহরে প্রবেশ করেন ২-৩ হাজার দলীয় নেতাকর্মী ও অনুসারী।আগেরদিনই তারা মোবাইল ফোন ও সাক্ষাতে এই নির্দেশ পান।ওইদিনের ঘটনায় ৩ জন নিহত ব্যক্তির নাম-পরিচয় পাওয়া যায়।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর আদালত ঘিরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত মামলার ঘটনায় আসামি জামিন না দেওয়ার হুশিয়ার দিলেন ছাত্র সমাজ এসময় আন্দোলনকারীরা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের সামনে ঘন্টাব্যাপী কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা।
মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার বলেন,তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে আসামীদের গ্রেপ্তারের সার্বক্ষণিক চেষ্টা চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :